মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই: মির্জা ফখরুল

‘দেশের মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ঈদে আমরা সবসময় এই প্রত্যাশা করি যে, দেশের সকল মানুষের মধ্যে আনন্দ আসবে এবং আনন্দের সঙ্গে তারা ঈদুল ফিতর পালন করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেভাবে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ কর্মচ্যুত হচ্ছেন সেখানে আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই।’

মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদের দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন দলের বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এই অবস্থার অবসান ঘটান। আমরা যেন এই স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমরা যেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারি এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি- এই হচ্ছে আজকে আমাদের প্রার্থনা।’

দলের নেতা-কর্মীদের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে আমরা দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আসি জিয়ারত করতে। এবার অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা এসেছি যে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন।’

বিএনপি’র প্রায় ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের আসামি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, সহাস্রাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এরকম একটা চরম ফ্যাসিবাদী শাসনে আজকে গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে।’

ঈদের দিন সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, রুহুল কবির রিজভীসহ প্রমুখ নেতারা শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন। তারা শহীদ জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ফাতেহা পাঠ করেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.