জাতীয় ঈদগাহে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাতের জন্য প্রার্থনা

জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮ টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত শেষে মোনাজাতে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাতের প্রার্থনা করা হয়।

এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ জামাতে নামাজ আদায় করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত। ১০ মিনিট ধরে চলা মোনাজাতে আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।

মোনাজাতে হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন বলেন, হে আল্লাহ তুমি জানো কোন অপশক্তি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা করছে। তুমি তাদের এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দাও।

মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এছাড়াও যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সুস্থতা কামনা এবং করোনায় মৃতদের জান্নাত দানের প্রার্থনা করা হয়। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিম জাহানের শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজ আদায়ের জন্য সকাল ৭টা থেকে থেকে জায়নামাজ হাতে ঈদগাহে ভিড় করেন মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। দুই বছর পর এবার তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করলেন। এবার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও নামাজে আসা অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়।

ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে আশপাশের সড়কে ডাইভারশন দেয় পুলিশ। ফলে মুসল্লিদের কিছুটা পথ হেঁটে মাঠে প্রবেশ করতে হয়েছে। ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র‌্যাব-পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি ছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় মুসল্লিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সকাল থেকেই ঈদগাহ এলাকায় এবং প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন। এছাড়াও প্রত্যেককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.