মহসিনের আগুনে বোলিং, ৬ রানে হারলো মুস্তাফিজরা

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের পেসার মহসিন খানের দারুণ বোলিংয়ে কাছে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গীয়েও ৬ রানে হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে। মহসিন একাই এদিন দিল্লির ৪ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৬ রান খরচা করে। লক্ষ্ণৌয়ের দেয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৮৯ রানে থেমেছে দিল্লির ইনিংস।

লক্ষ্ণৌয়ের দেয়া ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৫) ও পৃথ্বী শকে (৩) হারায় দিল্লি। এরপর দলের কিছুটা হাল ধরেন মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক ঋষভ পান্ত।এই দুজনে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৬০ রান। মার্শ ফিরেছেন ২০ বলে ৩৭ রান করে। হাফ সেঞ্চুরির আশা জাগানো পান্ত আউট হয়েছেন ৩০ বলে ৪৪ করে। এরপর ললিত যাদব দ্রুত ফিরে গেলেও রভম্যান পাওয়েল ও অক্ষর প্যাটেল মিলে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দিল্লিকে।

পাওয়েল ৩৫ করে আউট হওয়ার পর শার্দুলের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। তবুও একপ্রান্ত আগলে রেখে দিল্লিকে জেতানোর চেষ্টায় ছিলেন অক্ষর। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৪২ রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। কুলদীপ যাদব ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। মহসিনের ৪ উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন দুশমান্থ চামিরা, রবি বিষ্ণই ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লক্ষ্ণৌকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল। দুজনে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৪২ রান। এরপর দীপক হুদাকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন রাহুল।হুদা হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫২ রান করে ফিরেছেন। রাহুল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে আউট হয়েছেন ৫১ বলে ৭৭ রান করে। শেষদিকে মার্কাস স্টইনিস ১৭ ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ৯ রানে অপরাজিত থেকে লক্ষ্ণৌয়ের বড় পুঁজি নিশ্চিত করেন।

এই ম্যাচ বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। একাই ৩টি উইকেট দিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.