পরমাণু যুদ্ধের হুমকিকে ছোট করে না দেখার হুশিয়ারি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে পরোক্ষভাবে ‘প্রক্সি যুদ্ধে’ জড়াচ্ছে ন্যাটো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ পশ্চিমের শক্তিধর দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি বাড়ছে এবং বিষয়টিকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

লাভরভ দাবি করছেন,পশ্চিমের কাছ থেকে জ্যাভেলিন ট্যাংক, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়াযান ও অত্যাধুনিক ড্রোনের মতো উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র ইউক্রেনে আসছে। এতে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ার পরিবর্তে আরও  স্থায়ী হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃত্রিমভাবে এই ঝুঁকি বাড়াতে চাই না। অনেকেই সেরকমটা চাইবেন। এ মুহূর্তে গুরুতর ও প্রকৃত বিপদের অস্তিত্ব আছে এবং আমরা একে হালকাভাবে নিতে চাই না।’

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ার জন্য তিনি ওয়াশিংটনকেই দায়ী করে বলেন, আমরা ইউক্রেনে বসবাসরত রুশদের সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছি দেখে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, কিয়েভ আলোচনার টেবিলে বসার সময় ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আসে না। তারা আলোচনাকে ফলপ্রসূ করার পরিবর্তে বরং জনগণকে ধোঁকা দিতে চাই।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, ইতোমধ্যে এ যুদ্ধে উভয় পক্ষের বেশ কয়েক হাজার সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মস্কোর ভাষায়, এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা। ইউক্রেন ও মিত্ররা একে মিথ্যে অজুহাত বলে অভিহিত করেছে।

সম্প্রতি রাশিয়া সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র’র সফল ভাবে পরীক্ষা করেছে। এটি রাশিয়ার প্লেসেতস্ক অঞ্চল থেকে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে কামচাটকা উপদ্বীপে আঘাত হানতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের অস্ত্রাগারগুলোকে লক্ষ্য করে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। এটা ভিন্ন কিছু নয়। বস্তুত, ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে প্রক্সিযুদ্ধ করছে। তারা তাদের প্রক্সিকে অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করছে। যুদ্ধ মানেই যুদ্ধ।

অর্থসূচক/এইচডি/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.