বর্ণবাদের প্রমাণ না পাওয়ায় মুক্তি পেলেন স্মিথ

বর্ণবাদের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন গ্রায়েম স্মিথ। সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড নেশন বিল্ডিং (এসজেএন) এর এক স্বাধীন সালিশি প্রক্রিয়ার প্রতিবেদনে স্মিথকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। এসজেএনে স্মিথের ওপর তিনটি অভিযোগ আনলেও সেগুলোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ফলে স্মিথের ওপর আরোপিত অভিযোগ তদন্ত করে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক গোয়াকো ম্যানেটজি এবং মাইকেল বিশপ রায় দেন। যেখানে সিএসএ’র সাবেক ডিরেক্টর অব ক্রিকেটকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়। এদিকে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে (সিএসএ) বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সমস্ত খরচ বহন করতে বলা হয়েছে।

প্রথমত অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১৩-১৪ মৌসুমে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটার থামি সোলেকিলেকে টেস্ট দলে নেওয়া হয়নি। দ্বিতীয়ত সিএসএ কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। তৃতীয় ও শেষ অভিযোগ আনা হয়েছিল ২০১৯ সালে এনোক কুইকে সরিয়ে মার্ক বাউচারকে জাতীয় দলের কোচিং পদে বসিয়েছিলেন স্মিথ।

এসজেএনের প্রতিবেদনে স্মিথ, বাউচারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে সিএসএ চেয়ারম্যান লসন নাইডু মার্চে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দেন। ৩১ মার্চ সিএসএ’র ডিরেক্টর অব ক্রিকেট পদের মেয়াদ শেষ হয় স্মিথের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিএসএ স্মিথকে পরামর্শক হিসেবে চেয়েছিল। তবে তারা বুঝতে পারেনি স্মিথের আগ্রহ আরও বেশি ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএসএ’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে তিনি (স্মিথ) ক্রিকেটের সঙ্গে বাণিজ্যের যে চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার সামনে অনেক লম্বা ক্যারিয়ার পড়ে আছে। আশা করি, তিনি এখনো ক্রিকেট বিশ্বে যথাযথ দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।’

সিএসএ আরও জানিয়েছে যে, স্মিথের সময়কাল তাদের জন্য খুব কঠিন ছিল। তারা একারণে আফসোস করছে। জানা গেছে, স্মিথ এক মাসে বাংলাদেশি ৩০ লাখ টাকা আয় করেছেন (৫ লাখ ৪০ হাজার দক্ষিণ আফ্রিকান র‍্যান্ড)। যেখানে প্রধান নির্বাহীর চেয়েও বেশি আয় করেছেন সিএসএ’র সাবেক বোর্ড পরিচালক।

সিএসএকে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং অতিরিক্ত বাজেট হিসেবে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে এসজেএন। স্মিথের মামলার খরচ চালাতে সিএসএ কে এখন মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.