নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ বোয়িংয়ের ৭৩৭ মডেলের বিমান

স্থানীয় সময় গতকাল (সোমবার) দুপুরে চিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াং-শিতে বিধ্বস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি ৭৩৭ মডেলের বিমান। বিমানের ট্রেকিং ওয়েবসাইটের তথ্যমতে উড্ডয়নের এক ঘন্টা পর বিমান্টির সংগে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

১৩২ জন যাত্রী নিয়ে চিনের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিচালনা প্রতিষ্ঠান চায়না ইস্টার্ণ এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হবার পর আবারো আলোচনায় বোয়িংয়ের ৭৩৭ মডেলের নিরাপত্তা ইস্যু। যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কোন কারণে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে চলছে চুল চেড়া বিশ্লেষণ।

এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্কের (এএসএন) তথ্য বলছে চিনের গুয়াং-শিতে বিধ্বস্ত হবার আগেও বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানগুলো অন্তত ২২ বার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

সর্বপ্রথম ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসার মাত্র ১৮ দিনের মাথায় ১৫৪ জন যাত্রী নিয়ে ব্রাজিলে বিধ্বস্ত হয় জিওএল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। যে দুর্ঘটনায় ১৫৪ জনই প্রান হারান। এর পরের বছরেই মে মাসের ৫ তারিখে ক্যামেরনের ক্যানিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ মডেলের একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১১৪ জন। ২০১০ সালে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সের একই মডেলের একটি বিমান দূর্ঘটনায় প্রান হারান ১৫৪ জন, একই বছর লেবাননে ইথিউপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ৭৩৭ দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৯০ জন।

এছাড়াও ২০২০ সালেই ইরান, তুর্কি এবং ভারতে একই মডেলের বিমানের পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় প্রান হারান ১৯৯ জন যার মাঝে ইরানে ১৭৬ জন এবং ভারতে নিহত হন ২১ জন।

সবশেষ গতকাল চিনে একই মডেলের একটি বিমান দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ বিমানের ৬ টি বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানগুলো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে দেশের বিমান বিশেষজ্ঞ এবং যাত্রীদের মাঝে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের বহরে থাকা বোয়িংয়ের তৈরি ছয়টি ৭৩৭-৮৮৮ মডেলের বিমানের নিরাপত্তা ইস্যু।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.