ইয়েমেনে অপহৃত জাতিসংঘের ৫ কর্মকর্তার একজন বাংলাদেশি

ইয়েমেনে অপহরণ হওয়া জাতিসংঘের পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছেন। তিনি সাবেক সেনাকর্মকর্তা বলে জানা গেছে। আগামী শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফেরার কথা ছিল জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার। তার আগেই অপহরণের শিকার হলেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সংস্করণের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুফিউল আনাম দুই দশক থেকে জাতিসংঘ কর্মরত। তিনি সংস্থাটির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিভাগের ফিল্ড সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ভয়েস অব আমেরিকা বলছে, অপহরণের শিকার বাংলাদেশি হলেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা এ কে এম সুফিউল আনাম। অপহরণের পর থেকে উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে সুফিউল আনামের পরিবারের সদস্যদের। তাঁর স্ত্রী কাজী নাসরিন আনাম ঢাকায় থাকেন। এ ছাড়া এক ছেলে এবং এক মেয়ে থাকেন কানাডায়।

সুফিউল অপহরণের শিকার হয়েছেন এমন দাবি করে তাঁর ভাগ্নে নিয়াজ মামুন ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ‘তাঁকে (এ কে এম সুফিউল আনাম) উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের তরফে পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

সুফিউল আনামের প্রবাসী ছেলের বরাত দিয়ে নিয়াজ মামুন জানান, সুফিউল আনামকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অপহরণের শিকার সুফিউল আনামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

গত শনিবার ইয়েমেনে নিয়োজিত জাতিসংঘের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দেশটিতে জাতিসংঘের পাঁচ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে। সুফিউল ছাড়া বাকি চারজনই ইয়েমেনের নাগরিক বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছিল, অপহরণের শিকার অন্যজন বিদেশি। তবে কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

জাতিসংঘের ইয়েমেন অফিস জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের মাধ্যমে আল-কায়দার সঙ্গে আলোচনা চলছে। আল-কায়দা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা আক্রমণ করে মানসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ওই বছরের মার্চ থেকে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। এরপর থেকে চলমান সংঘাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.