‘বড় বড় কোম্পানিকে বাজারে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ডিএসই’

সিএমজেএফ-ডিএসই বৈঠক

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেছেন, গত এক বছরে দেশের পুঁজিবাজারে বাজারমূলধন ৮০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমরা জিডিপি ও বাজারমূলধনের অনুপাতে ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছি। অর্থনীতি যত বড় হচ্ছে, পুঁজিবাজার ততটা বড় হচ্ছে না। এই অবস্থায় বাজারের ব্যাপ্তি বাড়াতে দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে ডিএসই। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠিগুলোর কর্ণধারদের সাথে ডিএসই একটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে আলোকে এখন ফলোআপ চলছে।

তিনি বলেছেন, দেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোড শো’র আয়োজন করা হচ্ছে। এতে এই বাজারের প্রতি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। নতুন তহবিল আসার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে বাজারে ভাল শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। নইলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএসজেএফ) নবনির্বাচিত কমিটি সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভুঁইয়া, পরিচালক শাকিল রিজভী, সালমা নাসরিনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আস্থার (কনফিডেন্স) অভাব রয়েছে। এই আস্থা বাড়াতে হলে স্টেক হোল্টারদেরকেই ভাল কিছু করে দেখাতে হবে। যাতে তারা বিশ্বাস করে, মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে। তাদের আস্থার জায়গা বড় ধরণের জাগরণ তৈরি করতে হবে। তবেই তারা পুঁজিবাজারে আসবে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিখ আমিন ভুঁইয়া ডিএসইর সাম্প্রতিক বিভিন্ন সাফল্য ও আগামীদিনের পরিকল্পনা বৈঠকে শেয়ার করেন। তিনি জানান, তারা বাজারে নতুন প্রোডাক্ট আনার জন্য অনেক গুরুত্বের সাথে কাজ করছেন। আগামী মার্চ/এপ্রিল মাস নাগাদ ইটিএফ চালু হবে বলে তারা আশা করছেন। আর আগাী বছরের মধ্যে ডেরিভেটিভস চালুর লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।

সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান, প্রাইমারি রেগুলেটর হিসেবে ডিএসইকে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বাড়াতে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে অগ্রাধিকার দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি বলেন, বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং বেড়ে যাচ্ছে বলে নানাভাবে বুঝা যাচ্ছে। বাজারের জন্য এটি প্রচণ্ড ক্ষতিকর। এ বিষয়ে ডিএসইর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

##

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.