ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে রাস্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক অনেক দূর এগিয়েছে। গত দুই বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বাসায় বসে প্রান্তিক মানুষের ব্যাংকিংয়ে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকটি অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের তুলনায় এগিয়ে।

সোনালী ব্যাংকের বর্তমান সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান ২০১৯ সালে রাস্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটিতে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু করার উদ্যোগ নেন। যাতে করে ঘরে বসেই বিভিন্ন সেবা পেতে পারেন এর লক্ষ কোটি গ্রাহক। বর্তমানে দেশের এই ব্যাংকটির মোট এক হাজার ২২৭ টি শাখাই অনলাইন ব্যাংকের আওতায়।

দেশের বৃহত্তম এই ব্যাংকটিকে একটি আদর্শ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি ২০২০ সনের মার্চ মাসে সোনালী ই-সেবা অ্যাপ চালু করেন। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাপস চালুর পর থেকে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত মোট ৯৯ হাজার ৩৩ টি হিসাব খোলা হয়েছে।

এছাড়া ১৭ মার্চ ২০২০ সালে চালু করা হয় সোনালী ই-ওয়ালেট যার মোট হিসাব সংখ্যা এক লাখ ৩৭ হাজার ৮১টি। বর্তমানে সরকারি এই ব্যাংকে, ছোট খাট ট্রান্সজেকশন করতে এবং হিসেব খুলতে গ্রাহকদের আর ব্যাংকে আসতে হয় না। সোনালী ব্যাংকের ব্লেজ অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসী গ্রাহকেরা তাদের কস্টার্জিত অর্থ মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে তাদের হিসেবে জমা করতে পারেন।

এই ব্যাংকের আইটি খাতের নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস দিতে ৩০১ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। সোনালী ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন ৬ হাজার ট্রান্সজেকশন হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান বলেন, বিশ্বে পেপারলেস ব্যাংকিং একটি জনপ্রিয় ধারণা। বাংলাদেশও এতে পিছিয়ে নেই। বর্তমানে সব মানুষই স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এই কোভিডকালীন সময়ে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন, বিশেষ করে বয়োঃবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেনগন যারা সরকারি এই ব্যাংক থেকে ভাতা নেন তাদের জন্য এটি একটি নিরাপদ মাধ্যম।

তিনি বলেন, সময় এখন ভার্চুয়াল এন্ড স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের। কোর ব্যাংকিং সলিউশোনের মাধ্যমে এখন নন-স্টপ ব্যাংকিং সার্ভিস দেয়া হচ্ছে সোনালী ব্যাংকে। অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার যুগোপযোগী করে আমরা ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

সোনালী ব্যাংকের চীফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ রেজওয়ান আল বখতিয়ার বলেন, ভার্চুয়াল ব্যাংকিংয়ে যেমন গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা পান, সেটা যেমন সঠিক তেমনি আমাদেরকে তাদের গচ্ছিত অর্থের নিরাপত্তাও নিশ্চিতকরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কারণ আমাদের কার্ড ব্যবহার ফি দেশের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম। আর এই কার্ড ব্যাবহার করে দেশের যে কোনো ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রাহকরা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.