মেসি-সালাহকে টপকে বর্ষসেরা লেভানডোভস্কি

আবারও ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোস্কি। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে সোমবার দিবাগত রাতে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। গতবারও এই পুরস্কারটি লেভানদোস্কির হাতেই উঠেছিল। ‘দ্য বেস্ট’ নামে পুরস্কার চালুর পর সর্বোচ্চ দুইবার জিতেছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

পিএসজির আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও লিভারপুলের মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে টপকে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই পোলিশ স্ট্রাইকার। ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে ফিফার অন্তর্ভুক্ত দেশের কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচিত সাংবাদিক ও ভক্তদের ভোটে দেওয়া হয়েছে এই পুরস্কার।

‘দ্য বেস্ট’-এ লেভানদোস্কির সঙ্গে লড়াইটা ছিল মেসিরই। গোলমেশিন লেভানদোস্কি ছন্দে ছিলেন ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়েও। ৪৪ ম্যাচে গোল ৫১টি, অ্যাসিস্ট আটটি। ম্যাচসেরার পুরস্কার ১৬ বার। বুন্দেসলিগায় ২৯ ম্যাচে ৪১ গোল করে ভেঙেছেন ১৯৭১-৭২ মৌসুমে গড়া জার্ড মুলারের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪০ গোলের রেকর্ড। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও আট ম্যাচে গোল করেছেন আটটি, অ্যাসিস্ট চারটি।

এই সময়ে মেসি আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা আর বার্সেলোনাকে কোপা দেল রে। ৫৭ ম্যাচে গোল ৪৩টি, অ্যাসিস্ট ১৭, সফল ড্রিবল ১৭৬, ম্যাচসেরা ৩৩, গোলের বড় সুযোগ তৈরি ৩৪ আর ‘কি পাস’ ছিল ১৫০টি।

মোহাম্মদ সালাহ নির্ধারিত সময়ে কোনো শিরোপা জেতেননি। তবে লিভারপুলকে লিগে তিন নম্বরে পৌঁছে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পেতে।

এক নজরে দেখে নিন কে কোন বিভাগে বর্ষসেরা

বর্ষসেরা নারী ফুটবলার: অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস (বার্সেলোনা)। বার্সেলোনাকে ট্রেবল জেতানোর পুরস্কার পেলেন পুতেয়াস। তিনি সতীর্থ জেনিফার এর্মোসো ও চেলসির স্যাম কেরকে টপকে এই পুরস্কার জেতেন।

বর্ষসেরা গোল: এরিক লামেলা (সেভিয়া)। আর্সেনালের বিপক্ষে দারুণ গোল করে লামেলা বর্ষসেরা গোল তথা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জেতেন। তখন লামেলা ছিলেন টটেনহ্যামে।

ফিফা স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ে রোনালদো জেতেন ফিফা স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড। ইরানের ফুটবলার আলী দাইয়ির গড়া ১০৯ গোলের রেকর্ড ভেঙে রোনালদো করেন ১১৫ গোল।

বর্ষসেরা পুরুষ কোচ: টমাস টুখেল (চেলসি)। চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোয় বর্ষসেরা পুরুষ কোচ হিসেবে নির্বাচিত হন জার্মান কোচ টুখেল।

বর্ষসেরা নারী কোচ: এমা হায়েস (চেলসি)। বার্সেলোনার নারী কোচ লুইস কোর্তেস আর ইংল্যান্ড নারী জাতীয় দলের বর্তমান কোচ সারা উইগম্যানকে টপকে এ পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

বর্ষসেরা পুরুষ গোলরক্ষক: অ্যাডওয়ার্ড মেন্ডি (চেলসি)। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোয় বড় অবদান মেন্ডির। ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি।

বর্ষসেরা নারী গোলরক্ষক: ক্রিস্টিয়ান এন্ডলার।

ফিফা ফেয়ার প্লে: ডেনমার্ক ফুটবল দল এবং মেডিক্যাল টিম ফিফা ফেয়ার প্লে পুরস্কার জেতে।

বর্ষসেরা ফ্যান পুরস্কার: ডেনমার্ক এবং ফিনল্যান্ডের ভক্তরা। ইউরোতে ডেনমার্কের ফুটবলার এরিকসেন মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই দেশের ভক্তরা এক হয়ে প্রার্থনা করেন তার সুস্থতার জন্য। এতেই দুই দেশের ভক্তরা বর্ষসেরা ফ্যান পুরস্কার পান।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.