সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, দেশে যখন ভয়ের চাষ চলছে, পত্র-পত্রিকায় দেখছি, ঘটনা চাপা দিতে পুলিশ কাগজ নিয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে যাচ্ছে। পুলিশকে এই সরকার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। জাতিসংঘ থেকে ৫৪ জনের লিস্ট দিয়ে সরকারের কাছে। তাদের সন্ধান চাওয়া হয়েছে। এতে বুঝতে হবে, সরকার ও পুলিশ ধরা খেয়েছে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত গুমের শিকার ভিকটিম পরিবারগুলোর প্রতি শুরু হওয়া হয়রানির প্রতিবাদে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, পুলিশের কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকারের দরকার নেই। পুলিশ বাসায় যাচ্ছে একটি কাগজে সই করাতে, যেন তারা বিচার থেকে মুক্তি পেতে পারে। আমি মাহমুদুর রহমান মান্না, আমার দল নাগরিক ঐক্য যদি কোনোদিন ক্ষমতায় যায় তবে গুমের ঘটনা গুনে গুনে তদন্ত করব। দোষী ব্যক্তিদের বিচার করব। তাই সবাইকে রাজপথে নামার ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। আগামী নির্বাচনে তারা ভোট ডাকাতির স্বপ্ন দেখতে পারে, কিন্তু সে আসায় গুড়ে বালি। পুলিশ তাদের রক্ষা করতে পারবে না। আর পুলিশদের বলি, আপনারা কেন অপরাধের খাতায় নাম লেখাচ্ছেন? যে মানুষগুলো দেশের আনাচে কানাচে কাঁদছে, তাদের থেকে মাফ পাবেন না।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজতে চাপ দিচ্ছেন। তাই সরকারের এখন মাথা খারাপ। সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশদের জনগণের স্বার্থে কাজ না করিয়ে তাদের ব্যবহার করছে। তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পুলিশকে ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় তারা গুম হওয়া পরিবারদের ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা বলে রাখতে চাই, গুম হওয়া ব্যক্তির খোঁজ দিতে না পারলে তাদেরকে (সরকার) ক্ষমতা থেকে নামিয়ে জনগণ বিচার করবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মায়ের ডাকের সংগঠক আফরোজা ইসলাম আঁখি, অধিকারের পরিচালক নাসিম উদ্দিন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.