রিভিউতেও ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর

দুর্নীতির মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ জামিনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন। একই সাথে টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন এবং ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করার পর ওই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন দুজন। তাদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ৯৬ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট মোট ৫৩ আসামির বিচার শুরু হয়। তবে এখনও বিচার শেষ হয়নি। আর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। তারা কোনো টাকা ফিরে পায়নি। তাদের প্রলুব্ধ করে বিনিয়োগে আগ্রহী করা ডেসটিনির সাবেক কর্মীরাও আছেন বিপাকে। পাওনাদারদের কারণে অনেকেই জমি বিক্রি করে এলাকাছাড়া হয়েছেন। বিতর্কিত বহুস্তর বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) ২০০০ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছিল ডেসটিনি।

একটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি (ডিএমসিএস) এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের (ডিটিপিএল) পরিচালকরা এমএলএমের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্যাকেজের শেয়ার দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ডিএমসিএসের পর্ষদ সভায় অনুমোদন ছাড়াই সদস্যদের অগোচরে এবং তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ওই সব অর্থ ৩২টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন। বিনিয়োগের নামে ওই অর্থ নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেছেন। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও ডেসটিনির মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৪০০ কোটি টাকা৷

অপর মামলার তদন্ত অনুযায়ী, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার হয়েছে আরও ২ লাখ ৬ হাজার ডলার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.