রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের বিদ্যমান রপ্তানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি ৬০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার, এটিকে বাড়িয়ে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এরজন্য আনুসাঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার করবো।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০২১-২০২৪ মেয়াদে এ নীতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ বিষয়ে একটি প্রস্তাব ছিলো। আমরা কীভাবে রপ্তানি বাণিজ্য করবো এর নীতি নির্ধারণ করার বিষয়টি প্রস্তাবে আসে। আমরা ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতি নির্ধারণ করেছি, এটা অনুমোদন করে দিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ট্র্যাপের মধ্যে পড়াটা আমাদের জন্য কার্যকর নয়। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা যে পরিকল্পনা করেছি, সেখানে বাৎসরিক আমাদের প্রক্ষেপণ এবং বাস্তবায়ন সবকিছু উল্লেখ করা আছে। আমি মনে করি অন্যদের সঙ্গে আমাদের মেলানো যাবে না। যদি ভিয়েতনামের কথা বলেন, তাদের বিনিয়োগ অলমোস্ট আসে বাইরে থেকে। সেখানে আন্তর্জাতিক বাজার আপস অ্যান্ড ডাউন কিছু হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ইম্প্যাক্টেড হয়। আমাদের দেশে তা উল্টো। আমাদের দেশে আমরা যা করছি নিজেদের বিনিয়োগ থেকে করে আসছি। মূলত লার্জলি আমাদের বিনিয়োগ। ফলে আমাদের ওপর এর ইম্প্যাক্ট আসবে বলে মনে করি না।

জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কি না, জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এটা আমাদের পর্যায়ে এলে আপনাদের জানাতে পারবো। তবে আমার বিশ্বাস, যখন যা করা দরকার সরকার অবশ্যই করবে। আপনারা জানেন, জ্বালানি তেলের দাম কতটা ঊর্ধ্বমুখী ছিলো। এখন আমরা নিম্নমুখী দেখতে পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

আট জেলায় হাই-টেক পার্কের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে পাঁচ বছর বিলম্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এটি করা হয়েছে। আগে বিভিন্ন কারণে বিলম্বিত হয়েছে। সেখানে কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। বাকি কাজগুলো করার জন্য আজ আমরা অনুমোদন দিয়েছি। বিভিন্ন কারণে এটি বিলম্ব হয়েছে। ভারত অবশ্যই টাকা দেবে। এখন যাদের দেওয়া হচ্ছে লারসেন অ্যান্ড টাব্রো (LARSEN & TOUBRO Limited) নামকরা একটি কোম্পানি, আমার মনে হয় এবার এ প্রকল্পটি নিয়ে এগোতে পারবো।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.