দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েও কোহলির আক্ষেপ

বছর দুয়েক ধরে বিরাট কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি নেই। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কাছাকাছি গিয়েও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া হয়নি ভারতের টেস্ট অধিনায়কের। কেপটাউনে আরও একবার সেই আক্ষেপে পুড়েছেন কোহলি। প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হয়েছেন ৭৯ রান করে। তার আক্ষেপের দিনে বল হাতে ঝড় তুলেছেন কাগিসো রাবাদা। এই প্রোটিয়া পেসার একাই শিকার করেছেন চার উইকেট।

বুধবার (১১ জানুয়ারী) কেপটাউনে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শুরুর আধঘন্টায় প্রোটিয়া পেসারদের সুইং আর গতি সামলে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই।

আগের টেস্টে ভালো ব্যাটিং করা রাহুল এদিন ফিরেছেন ৩৫ বলে ১২ রান করে। আর ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে মায়াঙ্ক ফিরেছেন ১৫ রান করে। দলীয় ৩৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে চেতেশ্বর পূজারাকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন কোহলি। ৪৩ রানে পূজারা ফিরলে ভাঙে ৬২ রানের জুটি। এরপর আজিঙ্কা রাহানেও ফিরেছেন দ্রুতই। আর আরও একবার ভালো শুরু পেয়ে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ঋষভ পান্ত। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ৫০ বলে করেছেন ২৭ রান।

বাকি সময়টায় কোহলি একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করলেও অপর প্রান্তের ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা অধিনায়ক পুরোটা সময় সবালীল ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে আউট হয়ে আক্ষেপ সঙ্গে নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। কোহলি ফেরার পর ভারত আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয়েছে ২২৩ রানে। এদিন বল হাতে দির্দান্ত ছিলেন প্রোটিয়া পেসাররা। বিশেষ করে রাবাদা এবং মার্কো জেনসেন। এই পেস জুটির শিকার করেছেন সাত উইকেট। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.