নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরছেন মুশফিক

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে ৩দিনেই। তারপরও নির্ধারিত সময়ের আগে দেশে ফিরতে পারছেন না মুমিনুল হক-তাসকিন আহমেদরা। তবে ১২ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসছেন খালেদ মাহমুদ সুজন এবং মুশফিকুর রহিম।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড থেকে সবাই নির্ধারিত সূচীতেই দেশে ফিরছে। কারণ ফ্লাইট নেই বলে দু’দিন সেখানে থাকতে হবে। ফ্লাইট যেভাবে ছিল সেভাবেই আসবে। তবে সুজন ও মুশফিক আগামীকাল দেশে ফিরে আসছে।’

নিউজিল্যান্ড সফরে টিম ডিরেক্টর হিসেবে গিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর মুমিনুল কৃতিত্ব দিয়েছিলেন তাকেও। তবে প্রথম টেস্টে খেললেও কুঁচকির চোটে দ্বিতীয়টিতে খেলতে পারেননি মুশফিক।

সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জেতার। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে এসে সব হিসেব পাল্টে দেয় টম লাথামের দল। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখা মুমিনুল-লিটনদের তিন দিনেই হারিয়ে দেয় স্বাগতিকরা।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২ রান করেছিলেন মুশফিক। তিনি ব্যর্থ হলেও ৪ ব্যাটসম্যানের হাফ সেঞ্চুরিতে স্কোরবোর্ডে ৪৫৮ রানের পুঁজি পায় মুমিনুল হকের দল। এর আগে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছিল ৩২৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য স্বাগতিকদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। এবাদত হোসেনের ৬ উইকেটের বিনিময়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৬৯ রানে গুটিয়ে দেয় সফরকারীরা। জয়ের জন্য সফরকারীদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ রান। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়সূচক রানটি আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। চোটের কারণে অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি মুশফিক। ফলে ১৬ বছর পর ৫ সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়া টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে ইনিংস হারের লজ্জায় ডুবে সিরিজ সমতায় শেষ করতে হয় বাংলাদেশ দলকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.