অর্ধেক যাত্রী হলে ভাড়া বাড়াতে চান বাস মালিকরা

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে সরকারি বিধিনিষেধে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হবে। এরই মধ্যে ট্রেনে ভাড়া না বাড়িয়ে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগে দুই মাসের ব্যবধানে আরেক দফা ভাড়া বাড়ানোর জন্য দর কষাকষি শুরু করেছেন বাস মালিকরা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠক করবে বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় বাস মালিকদের সঙ্গে পরিবহন কর্তৃপক্ষের সভা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে বাস ভাড়া বাড়ানো হবে কি না কিংবা বাড়ালে কত বাড়ানো হবে। যদিও সরকার এখন বাস ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছে না। কিন্তু মালিকপক্ষের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত আসে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ পর্যন্ত।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে মাত্র দুই মাস আগে নভেম্বরের শুরুতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সে সময় গড়ে ২৮ শতাংশ বাস ভাড়া বাড়ানো হয়৷ যদিও তেলের দাম বেড়েছিল লিটারে ১৫ টাকা৷ এই অবস্থায় আরেক দফা বাস ভাড়া বাড়ানো হলে জনসাধারণের জন্য সেটা ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সরকারি নির্দেশনা কীভাবে কার্যকর করা হবে- তা বুধবার মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক করা হবে। ভাড়া বাড়বে কি না, বাড়লে কতটা বাড়বে- সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। ভাড়া বৃদ্ধি বৈঠকের উদ্দেশ্য নয়। বিআরটিএ সবার আগে জনস্বার্থ দেখবে।’

২০২০ সালে লকডাউনের প্রথম দফায় ৬৮ দিন বাসসহ সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল। সে বছরের ১ জুন থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়। মালিকদের প্রস্তাবে সে বার ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। গত বছর দুই দফার লকডাউনের পরও ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলেছিল বাস। তবে ডিজেলের দাম লিটারে এক লাফে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৮ নভেম্বর বাসের ভাড়া প্রায় ২৮ শতাংশ বাড়ানো হয়। ঢাকায় বাসের ভাড়া কিলোমিটারে এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে। দূরপাল্লার বাসের ভাড়া কিলোমিটারে এক টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে এক টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। কিন্তু আসন বিন্যাসের কারণে ৪০ আসনের বাসে সেই ভাড়া পড়ছে দুই টাকা ৩৪ পয়সা।

এদিকে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বব্যাপী সতর্ক অবস্থা চলছে। বাংলাদেশেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশব্যাপী কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে, যা আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে। করোনা ঠেকাতে আজ থেকে ট্রেনের ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং ২৫ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। এছাড়া লঞ্চ কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.