বিদেশে এক সময় আমরা টেস্ট সিরিজও জিতব: মুমিনুল

মাউন্ট মঙ্গানুইতে আসমান ছোঁয়া বাংলাদেশকে ক্রাইস্টচার্চে মাটিতে নামিয়ে এনেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারলেও মুমিনুল হকের দলের বড় প্রাপ্তি সিরিজ সমতায় শেষ করা। তবে সামনে বিদেশ সফরগুলোতে নিউজিল্যান্ডে পাওয়া এই জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করছেন টেস্ট অধিনায়ক।

মুমিনুলের দাবি, দলের এখন সবাই বিশ্বাস করে বিদেশের মাটিতেও টেস্ট জেতা সম্ভব। বাংলাদেশ যদি ভবিষ্যতেও যে কোন সিরিজে একটি করে টেস্ট জিততে সক্ষম হয় তাহলে একটা সময় সিরিজও জিততে পারবে বলে আশা করছেন তিনি। আর মাউন্ট মঙ্গানুইতে জেতায় এই বিশ্বাসটাই দলের সবার মধ্যে এসেছে বলে মনে করছেন কক্সবাজারের এই ক্রিকেটার।

সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জেতার। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে এসে সব হিসেব পাল্টে দেয় টম লাথামের দল। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখা মুমিনুল-লিটনদের তিন দিনেই হারিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের টেস্ট দল নিয়ে তো কাজের অনেক বাকি আছে। উন্নতির তো অনেক কিছুই বাকি আছে, অনেক কিছু করা যাবে। আপনারা জানেন, আমি খুব কঠিন সময়ে নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। তখন তো আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার। মানুষের বিশ্বাসটা তো আসে চোখে দেখার (করে দেখানোর) জন্য। আমার মনে হয়, প্রথম টেস্ট জেতা খুবই দরকার ছিল।’

‘এখন আমি ও দলের সবাই এখন বিশ্বাস করতে পারছি, আমাদের সামর্থ্য আছে। বিদেশে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায়। এখন একটা টেস্ট জিতলাম, পরে আরেকটা টেস্ট জিতব, এভাবে এক সময় আমরা সিরিজ জিতব। তো ওই বিশ্বাসটা মনে হয়, সবার ভেতরে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম টেস্ট জেতাতে মনে হয় ওই বিশ্বাসটা সবার ভেতরে এসেছে’, আরও যোগ করেন তিনি।

সিরিজ সমতায় শেষ করার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে অনেক ইতিবাচক অনেক কিছু পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৪ ব্যাটসম্যানের ফিফটির সঙ্গে এবাদত হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। দ্বিতীয় টেস্টে ইয়াসির আলীর হাফ সেঞ্চুরি, লিটনের সেঞ্চুরি এবং নুরুল হাসানের লড়াকু দুটি ইনিংস। তবে ক্রাইস্টচার্চের প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিং হতাশ করেছে টেস্ট অধিনায়ককে।

মুমিনুল বলেন, ইতিবাচক তো অনেক কিছুই আছে। প্রথম টেস্ট যদি দেখেন, আমি সব সময় সংবাদ সম্মেলনে বলি, আমাদের দলীয় ফল তখনই ভালো হয়, যখন আমরা সম্মিলিতভাবে ভালো খেলি। সেটা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং যাই বলেন। আমার মনে হয়, এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমার মনে হয়, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। আমরা যতটা আশা করেছিলাম, বোলিংটাও তেমন করতে পারিনি। এরপরও প্রথম ইনিংসে ভালো (ব্যক্তিগত) ইনিংস ছিল। রাব্বির ফিফটি ছিল, সোহান ৪১ এর মতো করেছে। আমার মনে হয়, সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে, অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের সেঞ্চুরি অসাধারণ একটা ইনিংস। সোহানও খুব ভালো করছিল।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.