খোলা জায়গায় সব ধরণের সভা-সমাবেশ বন্ধ

১৩ জানুয়ারি থেকে খোলা জায়গায় সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্ত ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ বিধিনিষেধ জারি করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন।

প্রজ্ঞাপন বলা হয়, দেশে করোনার (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এছাড়া ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা টিকা সনদ রাখার কথা বলা হয়।

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অপরদিকে দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব ছাত্র-ছাত্রীকে নির্ধারিত তারিখের পর টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে এবং আবাসিক হোটেলে থাকতে বাধ্যতামূলকভাবে দেখাতে হবে করোনা টিকার সনদ।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা হয়। সেখানে করোনা মোকাবিলায় নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.