ঘুমের ওষুধই কনওয়ের শেষ ভরসা

ক্রাইস্টচার্চের সবুজাভ উইকেটের মাঝেও ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে প্রথম দিন শেষ করতে হয়েছে ডেভন কনওয়েকে। ৯৯ রানের অপরাজিত থাকায় ঘুমের জন্য ঔষধ খেয়ে রাত পার করতে চান বাঁহাতি এই ব্যাটার।

বাংলাদেশের পেসারদের অগোছাল এবং বিবর্ণ বোলিংয়ের দিনে নিউজিল্যান্ডকে দারুণ শুরু এনে দেন টম লাথাম এবং উইল ইয়ং। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১৪৮ রান। শরিফুল ইসলামের বলে ৫৪ রান করা ইয়ং ফিরলেও নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। এরপরের গল্পটা শুধুই কেবলই লাথাম এবং কনওয়ের। শুরুর দিকে খানিকটা দেখেশুনে ব্যাটিং করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলতে থাকেন কনওয়ে। চা বিরতি থেকে ফিরেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। লাথামকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া বাঁহাতি এই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৩ বলে।

এদিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ টেস্টের প্রথম ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধো ইনিংস খেলেছেন তিনি। এদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ইনিংসে ৬০০ এর বেশি রান তুলেছেন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ টেস্ট খেলা ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ রান তোলায় পাঁচে রয়েছেন তিনি। প্রথম দিন লাথাম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকলেও ১ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছোঁয়ার অপেক্ষা বেড়েছে কনওয়ের। ৯৮ রান নিয়ে দিনের শেষ ওভারে ব্যাটিং করছিলেন কনওয়ে। প্রথম দিনের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তে আসলে পরের চার বল ডট দেন লাথাম। তাতে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয় কনওয়েকে। এমন অবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্যে রাত পার করতে ঘুমের ঔষধ খাওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এ প্রসঙ্গে কনওয়ে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই আমার কিছুটা স্নায়ুচাপ কাজ করছে। খুব সম্ভবত আমাকে একটি ঘুমের ঔষধ নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে যেতে হবে।’

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ লুক রনকি মনে করেন কনওয়ে যে রানই করুক না কেন সে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে। রনকি বলেন, ‘যত রান করেছে তাতে সে অনেক খুশি এবং সে এখনও ব্যাটিংয়ে আছে। সে রাতে ঘুমাতে পারবে এবং আগামীকাল আবার শুরু করবে (ব্যাটিং)। সে শুধুই ডেভন কনওয়ে হবে।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.