রোমাঞ্চ জাগিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো ইংল্যান্ড

লড়াই, রোমাঞ্চ কিংবা মাধুর্যতা। টেস্ট ক্রিকেটে কোনো কিছুরই যেন কমতি নেই। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে পুরো সিরিজে মুখ থুবড়ে পরা ইংল্যান্ড রোমাঞ্চ জাগালো সিডনি টেস্টে। সফরকারীদের আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলে থাকা জনি বেয়ারস্টো ফিরলেও হাল ছাড়েননি স্টুয়ার্ট ব্রড এবং জ্যাক লিচ। টেস্ট ড্র করতে বড় অবদান রাখে তাদের দুজনের ৫২ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তবে শেষ দিকে লিচকে ফিরিয়ে সিডনি টেস্টের রোমাঞ্চে শেষ প্রলেপ দেন স্টিভেন স্মিথ। যদিও শেষ দুই ওভারে উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচান ব্রড এবং জেমস অ্যান্ডারসন।

সিডনিতে পঞ্চম দিনে ম্যাচ জিততে ৩৫৮ রান করার বিকল্প ছিল না ইংল্যান্ডের। এদিকে ম্যাচ ড্র করতে খেলতে হবে শেষ দিনের পুরো ৯০ ওভার। এমন সমীকরণের ম্যাচে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৩০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ইংলিশরা। তবে এদিন সকালের শুরুতেই উইকেট হারায় জো রুটের দল। অ্যাশেজে আরও একবার ব্যর্থ হাসিব হামিদ।

স্কট বোল্যান্ডের গুড লেংথের বল খেলতে গিয়ে উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে ক্যাচ তুলে দেন ৯ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার। থিতু হতে পারেননি ডেভিড মালানও। ৪ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে বোল্ড আউট করেন নাথান লায়ন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা জ্যাক ক্রলি আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি থেকে ২৩ রান দূরে থাকতে।

ক্যামেরন গ্রিনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন ১০০ বলে ৭৭ রান করা এই ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া রুট এদিন সাজঘরে ফিরেছেন ৮৫ বলে ২৪ রান। ড্র করার স্বপ্নের বিভোর থাকা ইংল্যান্ডের প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর লায়নের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৬০ রান করা স্টোকস ফিরলেও মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে ছিলেন বেয়ারস্টো।

ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে আউট হয়েছেন জস বাটলার। ১১ রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্স। একই ওভারে আউট হয়েছেন মার্ক উড। ৪১ রান করা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে অস্ট্রেলিয়া। তবে ৫২ বলে ৩৩ রান করে ইংল্যান্ডের ড্র করার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন ব্রড ও লিচ। শেষ দিকে লিচ আউট হলেও অ্যান্ডারসনকে সঙ্গে নিয়ে ইংলিশদের ম্যাচ বাঁচান ব্রড।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.