নির্বাচনে কেউ না এলে ভোট বসে থাকবে না: আইনমন্ত্রী

বিএনপির ভোট হরণের কালো দিবস পালন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচনে যদি কেউ না আসে তাকে ভোট দেয়ার জন্য মানুষ তো বসে থাকবে না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওভারসিস করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ‘ওকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ভোট আপনারা দেখেছেন। হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভোট‌ই দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৪ সালে আমি নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার নিজের তোলা ছবি আছে- মানুষ ভোট দিতে গেছেন। আমি দেখাতে পারব। নির্বাচনে জনগণের কাছে আমার বার্তা ছিল- আমার বিরুদ্ধে হলেও ভোট দেন, ভোটকেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করুন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কেন্দ্রে মানুষ না আসার কালচার কবে থেকে চালু হয়েছে তা আমার মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। মানুষ মনে করেছে- আমার আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করা দরকার, এই সরকার চেষ্টা করছে। এখন কোনো দল নির্বাচনে এসে আমাদের সঙ্গে কন্টেস্ট না করলে তাকে ভোট দিতে হবে, এটা তো আমি জনগণকে বলে দিতে পারব না।

‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির কার্যকলাপ আপনারা দেখেছেন। একটি আসনে চারজনকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি। একজন থাকবে, আরেকজন যাবে। আর না হলে পয়সা দেবে। যে বেশি পয়সা দেবে সে নির্বাচন করবে। নির্বাচনী আসন যেন অকশনের বিষয় হয়ে গেছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোনো কাজই আইনের বাইরে করতে পারে না। সরকারের কিছু করার থাকলে সেটিকে আইনের ধারায় এনেই করতে হয়। খালেদা জিয়া আত্মীয়-স্বজন একটি দরখাস্ত করেছিলেন। তারা সেখানে কোনও ধারা দেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও তারা কোনও ধারা দেননি তখন। ফৌজদারি আইনে ৪০১ ধারায় ওনার যে দণ্ডাদেশ সেটি স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়ার প্রবিশন আছে। এখন ৪০১ ধারায় যেটা আছে, সেটা হলো- শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। তার যে দরখাস্ত ছিল সেটিকে দরখাস্ত হিসেবে গণ্য করে সরকার নির্বাহী আদেশে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দিয়েছে। তিনি বাসায় চিকিৎসা নেবেন। কিন্তু বিদেশে যেতে পারবেন না।’

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সরাসরি সাংবাদিকদের আটক করা যাবে না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা হচ্ছে- এরকম মামলা করলে একজন সাংবাদিককে ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট করা যাবে না। তাকে সময় দিতে হবে। আর মামলা নেয়ার পর তাকে সুযোগ দিতে হবে যেন কোর্টে এসে জামিন চাইতে পারেন। পলাতক হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। ইমিডিয়েটলি তাকে অ্যারেস্ট করা যাবে না যতক্ষণ না ইনকোয়ারি শেষ না হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অভিযোগ থাকলে একজন সাংবাদিককে কারাগারে নেয়া যাবে না। আপনারা দেখেছেন গত ছয় মাসে এরকম ঘটনা ঘটেনি।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.