জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ শিক্ষার্থী

এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন পরীক্ষার্থী। এ পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ। গতবারের চেয়ে ১০.৭১ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৩১২ জন। পাশ করেছে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ০৮। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন। পাশের হার ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন। পাশের হার ৮৮ দশমিক ৪৯। তাছাড়া, বিদেশের ৯টি কেন্দ্রে ৪১৬ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে পাশ করেছে ৩৯৮ জন। পাশের হার ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্য উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। পাশের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

পরীক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, মোবাইল ফোনে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এজন্য যেকোনও মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয়। মাত্র এক মাসের মধ্যেই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শ্রেণি পাঠদান না হওয়ায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থী নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আবশ্যিক বিষয়ে এ বছর পরীক্ষা হয়নি। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্রী ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৬ জন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.