পারলেন না বাটলার, জিতল অস্ট্রেলিয়া

সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট জুড়েই খাপ ছাড়া ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। সেই চিত্রকল্পের পরিবর্তন ঘটেনি অ্যাডিলেড টেস্টেও। ম্যাচ বাঁচাতে পঞ্চম দিনে তিন সেশন ব্যাটিং করার বিকল্প ছিল না ইংল্যান্ডের। তবে সেই পরীক্ষায় একেবারে ব্যর্থ সফরকারীরা। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জস বাটলার। তবে সেই স্বপ্নের পূর্ণতা দিতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেও শেষ বিকেলের শেষ সেশনে হিট আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাটলারের বিদায়ে ধুলিসাৎ হয় ইংল্যান্ডের ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত জেমস অ্যান্ডারসনের বিদায়ে ২৭৫ রানের বড় জয়ে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে পঞ্চম দিন টেস্ট বাঁচানোর লড়াইয়ে নামে ইংল্যান্ড। টিকে থাকার লড়াইয়ে দিনের শুরুতেই ব্যর্থ অলি পোপ। পেসার মিচেল স্টার্কের বলে খোঁচা দিয়ে সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ব্যর্থতার পাল্লা ভারি করে ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ৭ বলে ৪ রান করে।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দলীয় রান ১০০ পেরোনোর পরই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন বেন স্টোকস। নাথান লায়নের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হয়েছেন ৭৭ বলে ১২ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। যদিও শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে স্টোকসকে সাজঘরে পাঠান লায়ন।

স্টোকসের বিদায়ের পর ক্রিস ওকসের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন বাটলার। তারা দুজনে মিল গড়েন ১৯০ বলে ৬১ রানের দারুণ এক জুটি। তাতে ম্যাচ বাঁচানোর আশা খানিকটা জিইয়ে ছিল। তবে ৯৭ বলে ৪৪ রান করে ওকস আউট হলে কঠিন হয়ে যায় ম্যাচ বাঁচানো। তবুও আশার প্রদীপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাটলার। ওকসের পর তাকে সঙ্গ দিয়ে থাকেন অলিভার রবিনসন।

দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার ঠিক আগে আউট হয়েছেন ৩৯ বলে ৮ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার। বিরতি থেকে ফিরে আউট হয়েছেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাটলার। ঝাই রিচার্ডসনের বলে হিট উইকেটে আউট হয়েছেন ২০৭ বলে ২৬ রান করা এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাতেই ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয় ইংল্যান্ডের।

অ্যান্ডারসনকে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ২৭৫ রানের জয় নিশ্চিত করেন রিচার্ডসন। সেই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ নেন ডানহাতি এই পেসার। স্টার্ক ও লায়ন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। বাকি একটি করে উইকেট নিয়েছেন মাইকেল নেসার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা মার্নাস ল্যাবুশেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.