পিপলস ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান

শুরুটা ক্রিকেট দিয়ে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসান তার জীবনকে কেবল ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। করপোরেট জগতেও সাকিব আল হাসান যেন এক অলরাউন্ডার। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি । এরপর এ খাতে তিনি আর থেমে থাকেননি। স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কেবল দেশে নয় দেশের বাইরেও বড় বড় বিনিয়োগ রয়েছে সাকিব আল হাসানের।

সবশেষ এবার ব্যাংকিং খাতে যুক্ত হচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদে আবেদন করেছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিকানা যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের হাতে। সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি তার মা শিরিন আক্তারও ব্যাংকটির পরিচালক হচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সব ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছে। উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এম এ কাশেমও গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান ও তার মাকে পিপলস ব্যাংকের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা তার ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করেছি। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাকিবের মতো তারকা পাওয়াটা আমাদের জন্য গর্বের। আপাতত এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। আমরা পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগাড় করতে পেরেছি। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। কিন্তু লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.