যে ভুলে অকেজো হতে পারে লিভার

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ হলো লিভার। এই বিশেষ অঙ্গ শরীরের নানা ধরনের কাজ করে থাকে। যেমন-শরীরে প্রোটিন তৈরি থেকে শুরু করে, খাবার পাচন, শক্তি উৎপাদন, উৎসেচক উৎপাদন, কার্বোহাইড্রেট জমা করে রাখার মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার।

তাই লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা খুবই জরুরি। তবে বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে এই কার্যকরী অঙ্গটির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা ও খারাপ খাবারের অভ্যাসে লিভারে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। এ ছাড়াও ওজন বেশি থাকা, শরীরচর্চা না করা ও কম ঘুমানোর কারণে লিভারে চর্বি জমতে পারে। যাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার। এক্ষেত্রে রোগীর লিভারে চর্বি জমার কারণে তা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

ফ্যাটি লিভার সাধারণত দু’ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। মদ্যপান থেকে হয় অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

অন্যদিকে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো জীবনযাত্রার ভুল। এই রোগ লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার কারণ। এবার জেনে নিন ফ্যাটি লিভারের রোগীরা যেসব ভুল করবেন না-

>> ওজন বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ফ্যাটি লিভার থাকলে ওজন স্বাভাবিক রাখুন। এক্ষেত্রে ওজন কমালেই অনেকটা সমস্যা মিটে যায়। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে।

>> ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে চাইলে কোনোভাবেই তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। তেলযুক্ত খাবারে থাকা ফ্যাট শুধু ওজনই বাড়ায় না, পাশাপাশি লিভারের উপরও জমে তাই এই অসুখ থাকলে তেল খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।

>> মদ্যপান লিভারের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভারের কারণই হলো মদ্যপান। তাই মদ্যপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। দেখবেন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

>> একবার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়লে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রোগ থাকা অবস্থায় প্রতি ১ মাস অন্তর লিভার এনজাইম পরীক্ষা করতে হবে। আর সমস্যা কমে যাওয়ার পর প্রতি বছর ১ বার করে এই টেস্ট করতে হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.