শেখ হাসিনা গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া মুচকি হাসছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৪ সালে যখন গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হলো। পার্লামেন্টে একটি শোক প্রস্তাব পালন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। বিএনপি নেতারা হাস্যরস করে বললেন, ‘শেখ হাসিনা নিজে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন, আর খালেদা জিয়া মুচকি মুচকি হাসছিলেন। তখন মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না।’

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানবাধিকার দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঘর থেকে মানবিকতা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা মানবাধিকার রক্ষায় সভা সেমিনার করবো, কিন্তু নিজের ঘরের মানবাধিকার রক্ষা করবো না; এটা তো হতে পারে না। মানবাধিকার রক্ষা নিজের ঘর থেকে আগে শুরু করতে হবে। নিজের ঘরের যে হাউজ ওয়াইফ, তারও একটা অধিকার আছে; সেও পরিশ্রম করে, সবার আগে উঠে সবার পরে ঘুমাতে যায়, সেটি মাথায় রাখতে হবে। তা না হলে সঠিক মানবাধিকার রক্ষা সম্ভব হবে না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ও দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি চরম অমানবিকতার দেখিয়েছেন। যারা এমন অমানবিকতা প্রদর্শন করেছেন, তাদের প্রতি যে মানবিক আচরণ আমাদের নেত্রী দেখিয়েছেন, সেখান থেকে বিএনপির শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ১৯৮১ সালে আমাদের নেত্রী দেশে ফেরত এসে ৩২ নম্বর বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ওই বাড়িতে নেত্রীকে ঢুকতে দেয়নি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছিল। তখন মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না?’

সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ঢাকাস্থ ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ প্রমুখ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.