‌‘তুলে নিয়ে বিয়ে’ করা সেই তরুণীর মামলায় কারাগারে কলেজছাত্র

পটুয়াখালীতে ‘জোর করে বিয়ে করা’ সেই তরুণী ইশরাত জাহান পাখির যৌতুক মামলায় কলেজছাত্র নাজমুল হাসানকে (২৩) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।

পাখির আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, পাখি জোর করে নাজমুলকে বিয়ে করেননি। যৌতুক না দেওয়ায় পাখির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল নাজমুল। তার সঙ্গে পাখির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুই জনের সম্মতিতে শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। এরপর ঢাকার মিরপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সংসার জীবন শুরু করে। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা রায়েরবাজারের একটি কাজি অফিসে বিয়ের কাবিন সম্পন্ন হয়। সেখানে কাবিনের মোহরানার টাকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ওই সময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করা হয়, নাজমুলকে জোর করে বিয়ে করেছেন পাখি।

গত ৩ অক্টোবর পাখির বিরুদ্ধে একটি মামলা করে নাজমুল। এতে দাবি করা হয়, ২৭ সেপ্টেম্বর নাজমুলকে পটুয়াখালী লঞ্চঘাট থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার সময় নাজমুল ঢাকায় কাজি অফিসে অবস্থান করছিল। আসামি নাজমুল পাখির কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। যৌতুক না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়। সোমবার এ সংক্রান্ত দালিলিক তথ্যাদি উপস্থাপন করা হলে নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে ইশরাত জাহান পাখি বলেন, ‌‘বিয়ের আগে ও পরে নাজমুল আমার কাছে থেকে পাঁচ লাখের বেশি টাকা নিয়েছে। পরে নাজমুলের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পরায় আমার বিরুদ্ধে (অপহরণ করে বিয়ে করার) মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল। নাজমুলের অভিযোগ সোমবার আদালতে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।’

যৌতুকের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর নাজমুলকে প্রধান আসামি করে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন পাখি। মামলায় নাজমুলের বাবা-মাকেও আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নাজমুলের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সোমবার আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.