ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

অবশেষে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপের পর আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এ পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ নম্বরের পরিবর্তে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৫) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সকাল নাগাদ ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল ছুঁয়ে কিছুটা বাঁক নিয়ে উড়িষ্যার উপকূল হয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিয়ে এগিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.