শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক-হেলপার আটক

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয় নিহতের ঘটনায় ওই বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার পরপরই ওইখানে ছিলাম। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে কাজ করেছি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতা করেছি। এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো, কেন ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। যে বাসটি চাপা দিয়েছে, সেই অনাবিল পরিবহনের চালক ও হেলপারকে আমরা আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মাইনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রহমান। পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো মাইনুদ্দিন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি।

এর আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজের কাছে সড়কে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুলের শিক্ষার্থী দুর্জয় মারা যায়। খবর ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা অন্তত আটটি বাসে আগুন দেয়। আরও ৮/৯ টা গাড়িতে ভাংচুর চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। আগুন নেভানোর পর পুলিশ রেকার দিয়ে সড়ক থেকে বাসগুলো সরানোর কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটরডেম কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মারা যায় রাজধানীর গুলিস্তানে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে ৯ দফা ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করছে। এর আগে থেকে এ মাসের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বাসে হাফ পাশের দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে আন্দোলন করছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.