রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ৮ বাসে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের ধাক্কায় আবারও একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরার ডিআইটি রোডে সোনালী ব্যাংকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করতে পারে নি। এই ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছে উত্তেজিত জনতা। তারা ঘাতক বাসসহ একে একে আটটি বাসে আগুন দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে রামপুরা বাজার এলাকায় নেমেছিল। বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।

পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার পর বাস থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত এক ব্যক্তিকে জনগণ আটক করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাসচালক হতে পারেন তিনি।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদগামী অনাবিল বাসের ধাক্কায় একজন পথচারী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’

ঘটনার পর থেকে মালিবাগ থেকে রামপুরা পর্যন্ত দুইপাশের সড়ক বন্ধ রয়েছে। এ সময় শুধু বাসগুলো জ্বলতে দেখা গেছে। উত্তেজিত জনতা বাসগুলোতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, ১১টার পরপরই রামপুরার আবুল হোটেলের পাশে একটি বাসে আগুন দেয়ার খবর পাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দেখেন আরও বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়ানো হয়।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.