কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেলকে (৫২) ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে নিজ কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহার নামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনয়ারুল আজিম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এসব সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি।
আজ সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনয়ারুল আজিম বলেন, সহযোগীসহ কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।
এর আগে গত সোমবার নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর সোহেলের কার্যালয়ে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদ সাহাও প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধ হন আরও ৬ জন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র হন। তিনি সুজানগর এলাকার সৈয়দ মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.