২২ জেলেকে ফেরত দিলো মিয়ানমার

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারকালে সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২২ জেলেকে ১৩ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

শনিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘাটে এসে পৌঁছান জেলেরা। কোস্টগার্ডের প্রচেষ্টায় চার ট্রলারসহ মাঝি মাল্লাদের ফিরে আনা হয়।

রোববার (২১ নভেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিয়ানমারের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলেদের ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ট্রলারসহ জেলেদের ছেড়ে দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তারা শর্ত দেওয়া হয়ে যে, তারা আর যেন বাংলাদেশ জলসীমা পেরিয়ে মিয়ানমার জলসীমায় না যায়।

ট্রলার মালিক মো. আজিম বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রশাসন, বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করি আমরা। পরে কোস্টগার্ডের প্রচেষ্টায় ট্রলারসহ জেলেদের ফেরত দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনী।’

সেন্টমার্টিন স্টেশন কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, সেন্টমার্টিন থেকে মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর সেদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। উভয় পক্ষের দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কার্যক্রম শেষে তাদের ফেরত আনা হয়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, কোস্টগার্ডের প্রচেষ্টায় ট্রলারসহ জেলেদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ফিরে আনা হয়েছে। জেলেরা সুস্থ আছে।

উল্লেখ‌্য, শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সেন্টমার্টিনের পূর্বদিক থেকে দুই দফায় মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন এলাকার নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকাধীন চারটি ট্রলার ও ২২ মাঝিমাল্লাকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা স্পিড বোটে এসে ধরে নিয়ে যায়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.