১০৮ রানে থামল বাংলাদেশ

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি ওপেনাররা, তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাজমুল হোসেন শান্ত খানিকটা প্রতিরোধ গড়লেও দলের বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেননি। তাতে শান্তর ৪০ ও আফিফের ২০ রানের সুবাদে ১০৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১০৯ রান।

প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও নাইম শেখ। ইনিংসের প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদির ফুলার সাইডের বলে পরাস্ত হয়েছেন সাইফ। শুরুতে আবেদন করলেও সেটিতে সায় দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে কোনো রান করতে না পারা সাইফকে ফেরান শাহিন।

পরের ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে উইকেট দিয়ে এসেছেন নাইম। ডানহাতি এই পেসারের আউটসাইড অফের লেংথ বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ১ রান করা নাইম এদিন ফিরেছেন ২ রান করা। এরপর অবশ্য দলের হাল ধরেন আফিফ ও শান্ত।

শাহিন আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন আফিফ। পাওয়ার প্লের বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলেন এই দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৬ রান করে বাংলাদেশ। তবে থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। শাদাব খানের বলে আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার করেছেন ২১ বলে ২০ রান।

প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। হারিস রউফের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে চিকি শট খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এক চারের সাহায্যে ১৫ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। এদিকে ১০ রানের আক্ষেপে ফিরতে হয়েছে দলের বিপর্যয়ের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা শান্তকে।

শাদাবের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৪ বলে ৪০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৮ বলে ৩ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজকে উইকেট দিয়ে এসেছেন শেখ মেহেদি হাসান। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ১০ রান করে ফিরলে বাংলাদেশ থামে ১০৮ রানে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.