চাঞ্চল্যকর হাসান হত্যা: সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে চাঞ্চল্যকর হাসান হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবুসহ আটজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামি খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। এ সময় আদালতে ১৬ আসামির মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডিতরা হলেন- নজরুল ইসলম লেবু, আবদুর রউফ, জালাল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, শাহলম, ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও আবু তালেব ওরফে গাওরা। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়।

এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের আগস্টে উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের একটি কলেজ কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুলের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম লেবুর বিরোধ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুলের লোকজন আব্দুলের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় পাশের সুই গ্রামের কৃষক হাসান আলী আব্দুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও আহত হন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান তিনি। পরে হাসানের বড় ভাই আবুল কাশেম ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার পর নজরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলার পর আদালত আটজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.