একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব

টাঙ্গাইল-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানালো জাতীয় সংসদ। বর্তমান সংসদের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে বুধবার (১৭ নভেম্বর) সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সর্বসন্মতিক্রমে তা গ্রহণ করা হয়। এর আগে সংসদ নেতা শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন।

চলমান সংসদের কোনও সংসদ সদস্য মারা গেলে সংসদের বৈঠকে শোক প্রস্তাব ওঠানোর পর তা নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। শোক প্রস্তাবের ওই দিন সংসদের অন্য কার্যক্রম স্থগিত রেখে বৈঠক মুলতবি করা হয়।

মঙ্গলবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান টানা চারবারের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর গত ১৯ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পোস্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন ১৯৭৮ সালে। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত একাব্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক ১৯৯০ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার আইনপ্রণেতা হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও এমপি নির্বাচিত হন।

শোকপ্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আনোয়ারুল আবেদীন খান, ছোট মনির, বেনজীর আহমেদ, আবদুস সোবহান মিয়া, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বক্তব্য দেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.