পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে সংঘর্ষ

বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কয়েকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তারা পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছেন । তাদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পোলিশ বাহিনী। আত্মরক্ষায় পাল্টা পাথর ছুড়েন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) শরণার্থী ও পোলিশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শরণার্থীরা কুজনিকে সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছিল। পোলিশ বাহিনীর ওপর পাথর নিক্ষেপ করে তারা। তার জবাবে জল কামান ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একটি জোট গ্রুপা গ্রানিকার কর্মকর্তা মার্তা সেজম্যানদারিস্কা বলেন, পোলিশ বাহিনীর শরণার্থীদের ওপর হামলা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা শুধু অন্যায় করেনি, অমানবিক কাজ করেছে।

সংঘর্ষে কোনো শরণার্থী আহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে পোল্যান্ড সরকার। সীমান্তে এমন জটিল পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মারেউতস মোরাউইকি।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বেলারুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বেলারুশ সীমান্তের দিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সংকটের মাস্টারমাইন্ড মস্কোর।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণেই প্রতিশোধ নিতে অনুপ্রবেশের সুবিধা নিতে চায় তারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেলারুশ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। সীমান্তে সংকট তৈরির জন্য নতুন করে বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সীমান্ত নিয়েছে ইইউ।

এদিকে, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া ও লাটভিয়া বলছে, গত কয়েক মাসে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী তাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া থেকে।

অর্থসূচক/আরএমএস/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.