এবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে অমর একুশে বইমেলা। এমনটা জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি কর্তৃক বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২: আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।
সভায় মেলা পরিচালক ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সদস্য এ কে এম তারিকুল ইসলাম ১১টি দাবি জানান।
উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো—বইমেলা পুরো মাসব্যাপী চালানো, সময়কাল বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা নির্ধারণ এবং করোনা অতিমারি বিবেচনায় স্টল ভাড়া কমানো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, “দেশে বই প্রকাশনায় সংশ্লিষ্টদের শতকরা আশিভাগই অপেশাদার। প্রকাশকদের প্রফেশনাল হতে হবে। প্রতিবছর বইমেলায় প্রায় চার হাজার নতুন বই ছাপা হয়। এর মধ্যে মানসম্পন্ন চার শ’ বইও থাকে না।”
তিনি আরও বলেন, ‘বইমেলার মান বাড়াতে মানসম্পন্ন বই প্রকাশের পাশাপাশি প্রণোদনাও নিশ্চিত করতে হবে। মেলার স্থায়ী কাঠামোও তৈরি করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘বই আমার কাছে পবিত্র বস্তু। আমি চাই বাংলাদেশের মানুষ বই পড়ুক। আপনাদের দাবিগুলো পড়লাম। এর মধ্যে এমন কোনও দাবি নেই যা মানা সম্ভব নয়। বইমেলায় আসার পর অনেক প্রকাশক নতুন লেখকের বই আমাকে দেন। যেগুলো পড়ে মনে হয় এগুলো ছাপানোই উচিত হয়নি। বই যেন বাছাই করে ছাপানো হয়।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘মেলার স্থায়ী অবকাঠামো দরকার। সেটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্ভব নয়। পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে তাতে। আশেপাশে অন্য কোথাও হতে পারে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমি বলে আসছি এই মেলা করা উচিত প্রকাশকদের। বাংলা একাডেমির দায়িত্ব নয় বইমেলার আয়োজন করা। এতে একাডেমির কাজের প্রচুর ক্ষতি হয়। তবে এক দিনে তো আর প্রকাশকদের পক্ষে সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে এর দায়িত্ব প্রকাশকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেবে বাংলা একাডেমি। তবে মেলা আয়োজনের টাকা সরকার দেবে।’
তিনি প্রকাশকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সরকারের কাছে যান। প্রয়োজনে আমরাও আপনাদের সঙ্গে যাবো। স্পন্সরশিপ একেবারেই থাকা উচিত নয়। এটি যে পদ্ধতিতে হয়, সেটি একেবারে অগ্রহণযোগ্য।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক মনিরুল হক। সভাপতিত্ব করেন ওই সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.