চাঁদাবাজ-মাস্তানদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা উচিত: শিল্পপ্রতিমন্ত্রী

যারা চাঁদাবাজি, মাস্তানি করেন তাদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমানে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার আগে নানা বাহিনীর রিপোর্ট নেওয়া হয়, তবে কেন সন্ত্রাসীরা মনোনয়ন পাবেন? সেটি বন্ধ করা গেলে কিশোর গ্যাং বন্ধ হবে।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর মনিপুরে কিশোর অপরাধ নির্মূলে জনসচেতনতামূলক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবু মাসুদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত ডিআইজি ও র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মো. মোজাম্মেল হক।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে হবে। দেশে যত প্রযুক্তি ঢুকছে, দেশের তত ক্ষতি হচ্ছে। এর অপব্যবহার রোধ করা না গেলে কিশোর-যুবসমাজকে ধ্বংস থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। এজন্য শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা বেত চালাতে পারবেন না- এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনাটি যথার্থ নয় বলে মন্তব্য করেন কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে তাদের শাসন করতে হবে। সেই অধিকার শিক্ষকদের রয়েছে। সে কারণে শাসন করার অধিকার শিক্ষকদের দেওয়া উচিত। নতুবা শিক্ষার্থীরা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ালেও শিক্ষকদের কিছু করার থাকে না।

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ডিআইজি মোজাম্মেল হক কিশোর গ্যাংয়ে যুক্ত হওয়ার কারণ উল্লেখ করেন এবং মাদক থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক হিসেব অনুযায়ী ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত কিশোর বয়স ধারা হয়। গত এক বছরে ঢাকা মহানগরে কিশোর গ্যাং নামে বেশ কিছুটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের কারণে র‌্যাব-৪ এ পর্যন্ত ২৭৪ কিশোরকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৪০ জনকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, সমাজ ব্যবস্থা ও খারাপ সঙ্গর কারণে কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েরা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য যার যার অবস্থান থেকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.