দেশে করোনার মুখে খাওয়া ট্যাবলেটের জরুরি অনুমোদন

দেশে করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট ‘মলনুপিরাভির’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সোমবার (৮ নভেম্বর) দেশীয় ওষুধ প্রস্তুকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে জরুরি ব্যবহারের জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশের বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রস্তুতকৃত ওষুধের ব্র্যান্ড নাম হবে ‘ইমোরিভির’। এছাড়া আরও ১০টি কোম্পানি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। সেগুলোর অনুমোদন এই সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস জানায়, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিশ্বের প্রথম মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ দেশের বাজারে আনছে বেক্সিমকো ফার্মা। এটি জরুরি ব্যবহারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই ওষুধ তৈরির জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কয়ার, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, জেনারেল ফার্মা, বিকন ফার্মা, রেনাটাসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল, সেগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

চার দিন আগে যুক্তরাজ্য সরকার এ ওষুধের অনুমোদন দেয়। যুক্তরাজ্যে অনুমোদনের ৪ দিন পর দেশে ওষুধটির উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলো।

এ প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘মহামারিকালে “রেমিডেসিভির” এরপর “মলনুপিরাভির” দেশের বাজারে এনে করোনার চিকিৎসা মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে বেক্সিমকো যে দ্রুত সাড়া দেয়, এটি তার উদাহরণ। এটি কোম্পানির অনেক বড় সাফল্য এবং করোনার এই যুদ্ধে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে; বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশে যেখানে টিকা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছে না।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.