র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ২

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দুই জন কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে র‍্যাব ৯ এর শ্রীমঙ্গল ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলের মিরতিঙ্গা চা বাগান এলাকায় র‍্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালালে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ওই দুইজন নিহত হন।তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় নিশ্চিত হতে কাজ করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বলছেন এরা কয়দিন আগে হওয়া আলোচিত ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা মামলার আসামি।

নিহতদের দুই জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছেন কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা। তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত একজন নাজমুল হত্যার ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তোফায়েল মিয়া (৩৫)। আরেক জন শহিদ মিয়া।

গত ৩১ অক্টোবর কমলগঞ্জের চৈত্রঘাটে সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের উইম্যান্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন নিহত নাজমুল হাসানের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯ সন্ত্রাসী।

সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল। নাজমুল ফেসবুক লাইভে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চার জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল। তার দাবি, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তার মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয় সেই দাবিও জানিয়েছিলেন নাজমুল।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.