নিরাপদ রক্তের মাধ্যমে সুস্থ জাতি গড়ে তুলছে কোয়ান্টাম

‘দেশের মোট চাহিদার আট ভাগের এক ভাগ রক্ত সরবরাহ করছে কোয়ান্টাম। নিরাপদ রক্তের মাধ্যমে সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি। শুধু রক্তের চাহিদা মেটানোই নয়, কোয়ান্টামের এই রক্তদান কার্যক্রম অন্যকে সেবাদানের মাধ্যমে মূলত দাতা সৃষ্টি এবং আত্মসন্তুষ্টিরই এক মহত উদ্যোগ।’
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর, ২০২১) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন এমপি। তিনি আরো বলেন, স্বেচ্ছা রক্তদানের মতো এমন মহতী কার্যক্রমের মাধ্যমে কোয়ান্টাম আসলে সুখী শান্তিময় সমাজ গড়ারই চর্চা করছে। এসময় তিনি স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন-এমন প্রায় তিনশ স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী আশিফা আহসান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম ইউনুস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় আট লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.