জলবায়ু সম্মেলনে মোদির ৫ প্রতিশ্রুতি

২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা পুরোপুরি কমিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি সম্মেলনে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।। এই পাঁচটি প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার বলেও উল্লেখ তিনি। এক প্রতিদেনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সোমবার (১ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এসব প্রতিশ্রুতির কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে মোদি বলছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই বিদ্যুতের পঞ্চাশ শতাংশ চাহিদাই পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলবে ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতের কার্বন নিঃসরণ আরও এক বিলিয়ন টন কমিয়ে ফেলার দাবিও করেন তিনি। কারণ জলবায়ু সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল দেশকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভারত শূন্য কার্বন নিঃসরণের জন্য ২০৭০ সালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও চীন ২০৬০ সালের মধ্যেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথা জানিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময় নিয়েছে।

পাঁচটি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে-

১. ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন বাড়িয়ে ৫০০ গিগাওয়াট করবে ভারত।

২. ওই একই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশই পূরণ করা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে।

৩। চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ কার্বন দূষণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার থেকে ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।

৪। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

৫. সর্বশেষে, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত।

গত ২ নভেম্বর সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধে একমত হয়েছে বিশ্ব নেতারা। প্রতিশ্রুতিতে সাক্ষর করতে রাজি একশো দেশ। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আসক্তি মানবতাকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.