নথি গায়েব: স্বাস্থ্যের ৬ কর্মচারীকে নিয়ে গেছে সিআইডি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিভাগটির তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে সিআইডি।

রোববার (৩১ অক্টোবর) রবিবার বেলা ১২টার দিকে সচিবালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন- জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল

তদন্তের জন্য সচিবালয়ে এসেছিলেন সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামান। তিনি জানান, যেহেতু একটা জিডি হয়েছে। সেটার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের জন্য খোঁজখবর নিতে আমরা এসেছি। কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিন ক্রাইম সিনের সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় (২৯ নম্বর কক্ষ) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন ও যুগ্ম সচিব কাজী আনোয়ার হোসেনের কক্ষে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এ সময় তারা সবার আঙ্গুলের ছাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করেন। অন্তত ১৩ জনের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ১৭টি ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মন্ত্রণালয়। ফাইলগুলো ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া কক্ষে। সেই কক্ষে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল এবং এই কেবিনেটের চাবিও থাকে তাদের দুজনের কাছেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের সূত্র। এই দুটি চাবি দিয়েই কেবিনেট খোলা হয় বলে জানায় সূত্র।

পরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) ১৭টি ফাইল হারানোর ঘটনায় শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. শাহাদাৎ হোসাইন।

সূত্র মতে, খোয়া যাওয়া নথিগুলোর বেশির ভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত। এর বাইরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.