আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন পরীমনি

বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলমের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় পরীমনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হন। এদিন পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে গত ১০ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর আদালত মামলাটির পরবর্তী বিচার কাজের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

ওই দিন পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবারও অস্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন। তার সাথে অপর দুই আসামিরও জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছয় জনের নামে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমনি। মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান আসামি করা হয়। এরপর বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ পেলে বিতর্কিত হয়ে ওঠেন পরী। ওই মামলার আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।

ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই গেল ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‍্যাব সদর দফতরে। পরে র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে।

মামলাটিতে পরীমনিকে তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে; একাধিকবার এই রিমান্ড নিয়েও আছে সমালোচনা। অবশ্য ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.