‘স্বর্ণ চোরাচালানে বাংলাদেশকে রুট বানিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ’

পার্শ্ববর্তী দেশ স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে উল্লেখ করে কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুর রউফ বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, তারা তিনটি জিনিস খুব পছন্দ করে। সিনেমা, ক্রিকেট, গোল্ড। তারা প্রচুর গোল্ড ব্যবহার করে। সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ গোল্ড ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হয় তার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় ভারতে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) কাকরাইল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এত পরিমাণ চোরাচালান ধরি আর এতে কোটি টাকা তাদের লস হয়। তবুও তারা এই কাজ করে যাচ্ছে। তাহলে বলা যায়, এরপরও তাদের লাভ আছে এখানে।

ড. আবদুর রউফ বলেন, আমাদের দেশের জুয়েলারি মালিক সমিতি স্বর্ণ আমদানিতে ভ্যাট, ট্যাক্স কমাতে বলে। তাহলে তারা আমদানি করবে। কিন্তু আমরা এতে যুক্তি দেখি না। যেখানে ওষুধ আমদানিতে ১৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, রেস্টুরেন্টে গেলে ভ্যাট দিতে হয়, সেখানে স্বর্ণ আমদানিতে কেন ভ্যাট কমাবো?

তিনি আরও বলেন, আমাদের পাশের দেশে এমন গায়ক আছেন যিনি কেজি পরিমাণ স্বর্ণ নিজের শরীরে ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা তাদের ট্যাক্স, ভ্যাটের পরিমাণ কমায় না। তাদের রুলস আরও অনেক কঠিন। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের তুলনায় অনেক বেশি ভ্যাট। এটা আরও বাড়াতে হবে কিন্তু কমানোর সুযোগ নেই।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.