নাইম-মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ওপেনিং জুটি ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি বাংলাদেশকে। তারপরও দলীয় নৈপুণ্যে দুই ম্যাচ জিতে রানার্স আপ হয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট পায় বাংলাদেশ। আর এখানে এসেই ওপেনিং জুটি থেকে মোটামোটি বড় রান পায় বাংলাদেশ। লিটন দাস-নাইম শেখের ৪০ রানের জুটির সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও নাইমের ৭৩ রানের জুটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে এনে দেয় ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ। ওপেনার নাইম শেখ করেন সর্বোচ্চ ৬২ রান। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে।

সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হারলেও শুরুতে ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে হতাশ করেননি ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগের বলে লিটন ফিরলেও বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ৪০ রান।

১৬ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। তবে আউট হওয়ার পর লাহিরু কুমারার সঙ্গে বাকবিতণ্ডাতেও জড়ান এই ওপেনার। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা সাকিব অবশ্য এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। চামিকা করুনারত্নের বল স্টাম্প ছেঁড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৭ বলে করেন ১০ রান।

২ উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। লম্বা সময় পর মুশফিকেও ছন্দে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। এই দুজন মিলে বাংলাদেশকে দলীয় ১০০র ওপর নিয়ে যান। নাইম তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তবে ব্যক্তগত ৬২ রানের সময় বিনুকা ফার্নান্ডোর বাউন্সারে আউট হন এই ওপেনার।

সঙ্গী হারালেও অপরপ্রান্তে থাকা আফিফকে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান মুশফিক। দেখা পান ২০১৯ সালের ভারত সফরের পর এই ফরম্যাটে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির। সে সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫০ রান। অবশ্য এর ২ বল পরই রান আউট হন আফিফ। ৬ বলে ৭ রান করে ফেরেন তিনি।

আফিফের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৯তম ওভারের শেষ বলে একটি বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৫৯ রান। শেষ ওভারে এই জুটি মিলে আরও নেন ১২ রান। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৭১ রানে। শেষ ১০ ওভারে আসে ৯৯ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.