পাপুয়া নিউ গিনিকে ১৮২ রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা

সুপার টুয়েলভের টিকিট নিশ্চিত করতে আজ (মঙ্গলবার) পাপুয়ানিউগিনির বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। পরিসংখ্যান বা হিসাব-নিকেশ এড়িয়ে গ্রুপ ‘বি’ থেকে সরাসরি পরের পর্বে যেতে পিএনজির সঙ্গে ৩ রানের ব্যবধানে জিতলেই চলবে টাইগারদের। সে লক্ষ্যে আজ আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৮১ রানের সংগ্রাম পেয়েছে বাংলাদেশ দল। পিএনজিকে আটকাতে হবে ১৭৮ রানের মধ্যে।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দৈন্যতা কাটছে না কিছুতেই। রান খরার বৃত্ত ভেঙ্গে বের হতে পারছেন না মুশফিকুর রহিম, নুরুল নাসান সোহানরা। ধারাবাহিকতা অভাব স্পষ্ট নাঈম শেখ, লিটন দাসদের ব্যাটে। ওপেনিং জুটি নিয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা দীর্ঘায়ত হচ্ছে আরো। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কঠিন পরীক্ষার মুখে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

পাপুয়ানিউগিনির বিপক্ষে আজ ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ব্যতিক্রম শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সাকিব আল হাসান। ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের পর আজও চল্লিশঊর্ধ্ব ইনিংস খেলেন সাকিব। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ফিফটির কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৮১ রান। সরাসরি সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করতে ১৭৮ রানের মধ্যে আটকাতে হবে পাপুয়ানিউগিনিকে।

মাসকাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। আগের ম্যাচে অর্ধশতকের স্বাদ পাওয়া নাঈম শেখ এ ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। পাপুয়ানিউগিনির বোলার কবুয়া মোরিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন নাঈম।

দ্বিতীয় উইকেটে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন আর সাকিব। তাদের ব্যাটে ৭ ম্যাচ পর পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ, স্কোর বোর্ডে উঠে ৪৫ রান। তবে সেই রান আর বেশি বড় হয়নি লিটনের আউটে। ম্যাচে প্রথমবার হাত ঘোরায়ে আসা পিএনজির অধিনায়ক আসাদ ভালার প্রথম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৩ বলে ২৯ রানে আউট হন তিনি।

মুশফিক যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, সেটিও বিশ্বকাপের মতো মেগা মঞ্চে। তবে এ যাত্রায়ও ব্যর্থ তিনি। সাইমন আতাইকে উইকেট দিয়ে বিদায় নেন ৫ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি সচল রাখেন সাকিব। ছুটেছিলেন ফিফটির দিকে।।কিন্তু আগে ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও আক্ষেপ সঙ্গী তার। আসাদ ভালাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চার্লস আমিনির হাতে ধরে পড়েন। ৩ ছয়ে ৩৭ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ব্যাটিংয়ে নেমেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মাহমুদল্লাহ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শাসন করেন পাপুয়ানিউগিনির বোলারদের। মাত্র ২৭ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে পরেই বলেই সাজঘরের পথে হাঁটেন মাহমুদউল্লাহ। তার ২৮ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজান সমান ৩টি করে চার-ছয়ের মারে। নুরুল হাসান সোহান নিজের মান রাখতে পারছেন না। নিজের খেলা প্রথম বলে খোঁচা দিয়ে ধরলেন সাজঘরের পথ।

শেষদিকে তরুণ আফিফ হোসেনের ১৪ বলে ২১ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৬ বলে ১৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৮১ রান। পাপুয়ানিউগিনির হয়ে অধিনায়ক ভালা, কবুয়া মোরিয়া ও দামিয়েন রাভু প্রাত্যেকে ৩টি করে উইকেট নেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.