‘ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে’

দেশে করোনা টিকার কোনও অভাব হবে না বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতিমাসে তিন কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

বুধবার (২০ অক্টোবর) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা- ইউএইচএফপিওদের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশে ১৮ বছরের ওপরে যারা রয়েছেন, তাদের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।’ এছাড়া স্কুলশিক্ষার্থী ১২ থেকে ১৭ বছরের যারা রয়েছে, তাদেরকেও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অতি তাড়াতাড়ি সেই কাজটিও শুরু করবো। আর ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই টিকা পাবে।’

দেশে ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের ছয় কোটি টিকা দেওয়া শেষ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। আর স্কুল শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন হয়ে গেলে তারাও টিকা পাবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর প্রতিমাসে তিন কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’

সেইসঙ্গে এখন থেকে প্রতিমাসে দেশে অন্তত তিন কোটি ডোজ টিকা আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন চুক্তি অনুযায়ী চলে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী, আরও ভ্যাকসিন আসা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনও চলে আসছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও দেশে আসছে। আমরাও ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি— স্বাস্থ্য খাত চাইলে একদিনে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনও দেওয়া সম্ভব। কাজেই চাহিদা অনুযায়ী, এখন থেকে দেশে প্রতিমাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চলে এলে আমরা সেগুলো ভালোভাবেই মানুষকে দিতে সক্ষম হবো।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার থার্ড ওয়েভ (তৃতীয় ঢেউ) আসুক, এইটা আমরা চাই না। অনেক দেশে সরকার বদল হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে, কিন্তু বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের (ইউএইচএফপিও) উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উপজেলা কর্মকর্তাদের জন্যই দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় জনবল ঘাটতি পূরণে পৌনে ৫ লাখ জনবল বাড়ানোর চিন্তা করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ-এর মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন ইউএইচএফপিও’র আহ্বায়ক ডা. মোবারক হোসেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.