ফের কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তুরস্ক

ফের আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। শনিবার আঙ্কারায় এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, অতীতেও তুরস্ক কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করেছে। কাজেই বর্তমানে আবার সেখানে তুর্কি সেনা মোতায়েনে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আফগানিস্তান ও কাতারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর এই বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েন করতে পারে তুরস্ক। খবর- পার্সটুডের

গত আগস্ট মাসে তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তুরস্কের হাতে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল আমেরিকা। মূলত মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর ওই বিমানবন্দর তালেবানের হামলা থেকে রক্ষা করার কাজে আফগান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সে সময় তালেবান তুর্কি সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিল, আঙ্কারা কাবুল বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েন করলে এসব সেনাকে ‘শত্রুসেনা’ বলে গণ্য করা হবে।

কিন্তু ১৫ আগস্ট আকস্মিকভাবে তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার পর ওই বিমানবন্দর দিয়ে অপমানজনকভাবে মার্কিন সেনারা পালিয়ে যায়। তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কখনও কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য বিদেশি সেনা মোতায়েনের আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

এদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি প্রশ্নে এখনই আঙ্কারা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তার সরকার আফগান জনগণের সঙ্গে তালেবান সরকারের আচরণ পর্যবেক্ষণের পরই কেবল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছিলেন, তার দেশ আফগানিস্তানকে একটি মানবিক সংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তালেবানকে সহযোগিতা করলেও তালেবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না আঙ্কারা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    
উত্তর দিন