৩০ লাখ শিক্ষার্থী পাবে ফাইজারের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সময়মতো টিকা পেলে আগামী এপ্রিলের মধ্যে দেশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, আমাদের হাতে ৬০ লাখ টিকা আছে। যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেবো।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল হাসপাতালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়ার কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেবো এবং পর্যায়ক্রমে আমরা সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেবো। কারণ আমাদের হাতে প্রায় ৩০ লাখ ফাইজারের টিকা আছে। এতে করে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারবো।

ফাইজারের টিকা ভালো ও নিরাপদ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজার টিকা আমেরিকা ও ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে এ টিকা আমরা ছাত্রছাত্রীদের দিচ্ছি। কারণ আমরা চাই আমাদের শিশুরা নিরাপদে থাকুক।

তিনি বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে টিকা দেওয়া। আরেকটি স্বপ্ন ছিল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া। সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকার তৈরি নিরাপদ একটি টিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। খোদ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা খুবই নিরাপদ। আগামীতে শিক্ষার্থীদের এক কোটি টিকা দিতে পারবো। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাদের এই উদ্বিগ্ন নিরসন করতে এ টিকা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, পরবর্তী সময়ে দেশের ২১টি স্থানে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। রাজধানীতে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। দেশে এক কোটি শিশু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.